এক বৃদ্ধ বাবার তিন সন্তান
আসসালামুআলাইকুম।
আলহামদুলিল্লাহ আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকের গল্পটা মূলত একজন বৃদ্ধ বাবার তিন সন্তান নিয়ে লেখা। "An Old Father. He has three sons"
"সবুজ শ্যামলী সোনার এই বাংলাদেশের মতো একটি দেশে বাস করে হাজারো রকমের মানুষ। বিভিন্ন জাতি,ধর্ম ও বর্ণের নির্বিশেষে সকলেই একত্রে বসবাস করে।
তারই মধ্যে আজকে তুলে ধরব 'এক বৃদ্ধ বাবার তিন ছেলে সন্তানের কথা'।
যায় হোক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কম্বল পাড়া গ্রামে বাস করে 'শাকিল, রহমত ও রাসেল নামের তিন ভাই'। তাদের বাবার নাম জনাব মোঃ মৃত.আব্দুর রশিদ সরকার এবং মায়ের নাম মোসাঃ রওশনয়ারা বেগম। ছোট বেলা থেকেই খুব অভাবের মধ্যেই চলত তাদের সংসার। তাদের আর্থিক আয় স্বল্প থাকার কারণে তারা অত্যান্ত কষ্টে জীবন যাপন করত। বাবা কোনো টাকা পয়সা রোজগার না করতে পারার কারণে ছোট বেলা থেকেই তাদের সংসারের গুরুতর দায়িত্ব এসে পরে বড় ভাই শাকিল ও মেজো ভাই রহমত আলীর উপর।
কিছু দিন পর একে একে তারা তিন ভাই একাধারে পঞ্চম শ্রেনী থেকে এ+ পেয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে পা রাখে। অনেক কষ্ট করে তাদের মা দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগার করে আনত। এভাবেই চলতে থাকে তাদের জীবন। কিন্তু এরই মাঝে ঘটে যায় হৃদয় বিদারক এক মর্মান্তিক ঘটনা। হঠাৎ করে তাদের বৃদ্ধ বাবা তাদের সকলকে ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে।
তাদের বাবার মৃত্যুর পর তাদের পরিবার আরো অচল হয়ে পরে। এভাবেই কেটে গেল কয়েক বছর। যখন তাদের মাধ্যমিক পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হলো। আল্লাহর রহমতে বড় ছেলে শাকিল জবেদ আলী সরকার উচ্চ বিদ্যালয় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ+ পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করল।
কিন্তু সেই সাথে আল্লাহর অশেষ রহমতের কারণে তার ছোট ভাই রহমতও পরের বছর জাথালিয়া আলাল শিকদার উচ্চ বিদ্যালয় বিজ্ঞান বিভাগ থেকেই গোল্ডেন এ+ পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করল। সেই সাথে ছোট ভাই রাসেলের পড়াশোনা এখনো চলতেছে।
বড় ছেলে শাকিল ও মেজো ছেলে রহমত তারা দুই ভাই'ই (ফুলবাড়িয়া) হাবেজ উদ্দিন সরকার কলেজ এ ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতেছিল। তাদের পড়াশোনা অত্যন্ত ভালো থাকার কারণে এলাকার মানুষসহ শিক্ষকরাও তাদের অনেক ভালো বাসতো।
দেখতে দেখতে পার হয়ে যায় দুটি বছর এসে যায় 'এইচ.এস.সি' পরীক্ষা। অবশেষে পরীক্ষার পর বড় ছেলে শাকিলের ফলাফল আসলো (বিজ্ঞান) থেকে GPA-4.58। খুব ভালো ফলাফল না আসার কারণে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি। যার কারণে সাধারণ ভাবে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। ঠিক তার পরের বছরই তার ছোট ভাই রহমত আলী একই কলেজ (হাবেজ উ.স.ক) থেকে এ+ অর্থাৎ (GPA-5.00) পেয়ে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো।
সেই সাথে বড় ছেলে শাকিল (BBAGC) তে পড়া বাদ দিল এবং দুই ভাই'ই University তে পরার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করল।
দীর্ঘদিন পর "আলহামদুলিল্লাহ" মহান 'আল্লাহ্' তায়ালার অশেষ মেহের বানীতে বড় ছেলে শাকিল ও মেজো ছেলে রহমত দুজনেই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
""বড় ছেলে শাকিল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ তম স্থান অধিকার করে বর্তমানে 'ফার্মেসী' বিষয় নিয়ে অধ্যয়নরত আছেন""
এবং
""মেজো ছেলে রহমত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩২৩ তম স্থান অধিকার করে বর্তমানে 'ফলিত গণিত' বিষয় নিয়ে অধ্যয়নরত আছেন।""
ও
""ছোট ছেলে রাসেল বর্তমানে জবেদ আলী সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ২০২০ এর এস.এস.সি পরীক্ষার্থী""
**লেখক**
মোঃ শাহিন আলম
কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজ
বিজ্ঞান বিভাগ
★★বিঃদ্রঃ জীবনের প্রথম বাস্তব কিছু কথা দিয়ে একটা গল্প লেখলাম। যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই এই গল্পটিকে শেয়ার করবেন। আশা করি গল্পটা অন্যদের জীবন গড়ার কাজে একটু হলেও অনুপ্রাণিত করবে💯💯💯
"ধন্যবাদ সবাইকে
আসসালামুআলাইকুম"
আলহামদুলিল্লাহ আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকের গল্পটা মূলত একজন বৃদ্ধ বাবার তিন সন্তান নিয়ে লেখা। "An Old Father. He has three sons"
"সবুজ শ্যামলী সোনার এই বাংলাদেশের মতো একটি দেশে বাস করে হাজারো রকমের মানুষ। বিভিন্ন জাতি,ধর্ম ও বর্ণের নির্বিশেষে সকলেই একত্রে বসবাস করে।
তারই মধ্যে আজকে তুলে ধরব 'এক বৃদ্ধ বাবার তিন ছেলে সন্তানের কথা'।
যায় হোক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কম্বল পাড়া গ্রামে বাস করে 'শাকিল, রহমত ও রাসেল নামের তিন ভাই'। তাদের বাবার নাম জনাব মোঃ মৃত.আব্দুর রশিদ সরকার এবং মায়ের নাম মোসাঃ রওশনয়ারা বেগম। ছোট বেলা থেকেই খুব অভাবের মধ্যেই চলত তাদের সংসার। তাদের আর্থিক আয় স্বল্প থাকার কারণে তারা অত্যান্ত কষ্টে জীবন যাপন করত। বাবা কোনো টাকা পয়সা রোজগার না করতে পারার কারণে ছোট বেলা থেকেই তাদের সংসারের গুরুতর দায়িত্ব এসে পরে বড় ভাই শাকিল ও মেজো ভাই রহমত আলীর উপর।
কিছু দিন পর একে একে তারা তিন ভাই একাধারে পঞ্চম শ্রেনী থেকে এ+ পেয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে পা রাখে। অনেক কষ্ট করে তাদের মা দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগার করে আনত। এভাবেই চলতে থাকে তাদের জীবন। কিন্তু এরই মাঝে ঘটে যায় হৃদয় বিদারক এক মর্মান্তিক ঘটনা। হঠাৎ করে তাদের বৃদ্ধ বাবা তাদের সকলকে ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে।
তাদের বাবার মৃত্যুর পর তাদের পরিবার আরো অচল হয়ে পরে। এভাবেই কেটে গেল কয়েক বছর। যখন তাদের মাধ্যমিক পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হলো। আল্লাহর রহমতে বড় ছেলে শাকিল জবেদ আলী সরকার উচ্চ বিদ্যালয় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ+ পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করল।
কিন্তু সেই সাথে আল্লাহর অশেষ রহমতের কারণে তার ছোট ভাই রহমতও পরের বছর জাথালিয়া আলাল শিকদার উচ্চ বিদ্যালয় বিজ্ঞান বিভাগ থেকেই গোল্ডেন এ+ পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করল। সেই সাথে ছোট ভাই রাসেলের পড়াশোনা এখনো চলতেছে।
বড় ছেলে শাকিল ও মেজো ছেলে রহমত তারা দুই ভাই'ই (ফুলবাড়িয়া) হাবেজ উদ্দিন সরকার কলেজ এ ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতেছিল। তাদের পড়াশোনা অত্যন্ত ভালো থাকার কারণে এলাকার মানুষসহ শিক্ষকরাও তাদের অনেক ভালো বাসতো।
দেখতে দেখতে পার হয়ে যায় দুটি বছর এসে যায় 'এইচ.এস.সি' পরীক্ষা। অবশেষে পরীক্ষার পর বড় ছেলে শাকিলের ফলাফল আসলো (বিজ্ঞান) থেকে GPA-4.58। খুব ভালো ফলাফল না আসার কারণে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি। যার কারণে সাধারণ ভাবে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। ঠিক তার পরের বছরই তার ছোট ভাই রহমত আলী একই কলেজ (হাবেজ উ.স.ক) থেকে এ+ অর্থাৎ (GPA-5.00) পেয়ে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো।
সেই সাথে বড় ছেলে শাকিল (BBAGC) তে পড়া বাদ দিল এবং দুই ভাই'ই University তে পরার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করল।
দীর্ঘদিন পর "আলহামদুলিল্লাহ" মহান 'আল্লাহ্' তায়ালার অশেষ মেহের বানীতে বড় ছেলে শাকিল ও মেজো ছেলে রহমত দুজনেই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
""বড় ছেলে শাকিল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ তম স্থান অধিকার করে বর্তমানে 'ফার্মেসী' বিষয় নিয়ে অধ্যয়নরত আছেন""
এবং
""মেজো ছেলে রহমত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩২৩ তম স্থান অধিকার করে বর্তমানে 'ফলিত গণিত' বিষয় নিয়ে অধ্যয়নরত আছেন।""
ও
""ছোট ছেলে রাসেল বর্তমানে জবেদ আলী সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ২০২০ এর এস.এস.সি পরীক্ষার্থী""
**লেখক**
মোঃ শাহিন আলম
কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজ
বিজ্ঞান বিভাগ
★★বিঃদ্রঃ জীবনের প্রথম বাস্তব কিছু কথা দিয়ে একটা গল্প লেখলাম। যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই এই গল্পটিকে শেয়ার করবেন। আশা করি গল্পটা অন্যদের জীবন গড়ার কাজে একটু হলেও অনুপ্রাণিত করবে💯💯💯
"ধন্যবাদ সবাইকে
আসসালামুআলাইকুম"
লেখকে ধন্যবাদ এরকম দারুণ গল্প লেখার জন্য।
ReplyDeleteআপনাকেও স্বাগতম
ReplyDelete